হজরত কুদামা ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে আমির রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে (হজের মৌসুমে) খাকী বর্ণের একটি উটনীর ওপর সাওয়ার হয়ে (আকাবায়) কংকর নিক্ষেপ করতে দেখেছি। (তিনি এভাবে কংকর নিক্ষেপের জন্য গিয়েছেন যে, লোকজনকে তার কাছ থেকে দূরে থাকার জন্য) না কোনো মারপিট ছিল আর না কোনো প্রকারের হাঁকডাক। ‘এদিকে যাও’ ‘ওদিকে সর’ এমন কথাও বলা হয়নি। (আখলাকুন্নবী সা., ১১৪)
এই হাদিসের মাধ্যমে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মহানুভবতা ও তার পরম বিনয় প্রকাশ পেয়েছে। কারণ তখন তিনি পুরো বিশ্বের প্রথপ্রদর্শক ও সকল নবীর সর্দার হওয়ার পাশাপাশি সমকালীন প্রশাসনের সর্বোচ্চ কর্তা ব্যক্তিও ছিলেন। এরপরও তার চাল-চলন, কথাবার্তা ও আচরণে কর্তাসূলভ কোনো কিছু লক্ষ করা যায়নি।
হজের মৌসুমে হাজিদের প্রচণ্ড ভিড় থাকে। আবার তাদের অধিকাংশই থাকেন এমন চরিত্রের যারা নাগরিক রীতি নীতি সম্পর্কে অসচেতন ও অনভ্যস্ত। এমন পরিস্থিতিতে একজনের শরীরে অন্যজনের শরীরের ধাক্কা লাগা, ভিড়ের চাপে কেউ নিচে পড়ে যাওয়া মোটেও অস্বাভাবিক কিছু নয়। কিন্তু এমন পরিস্থিতিতে প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজের মর্যাদার জন্য পৃথক কোনো ব্যবস্থা নেননি। তিনি সাধারণের সঙ্গে মিশে হজ পালন করেছেন।