প্রবাসীদের বৈদেশিক মুদ্রা ক্রয়-বিক্রয়ের সুবিধা কথা বিবেচনায় নিয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিভিন্ন ব্যাংক ও মানি এক্সেচেঞ্জের বুথ স্থাপন করে সরকার। যাদের প্রধান দায়িত্ব প্রবাসীদের সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার পাশাপাশি দেশের স্বার্থ সুরক্ষা করা।
কিন্তু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এখন বৈদেশিক মুদ্রার অবৈধ লেনদেন ও পাচারের স্বর্গরাজ্য। সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকের মোট ২৮টি বুথ এবং ২টি মানি এক্সচেঞ্জ হাউজসহ মোট ৩০টি বুথে প্রতিদিন ব্যাংকিং চ্যানেলের বাইরে প্রায় শতকোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রার অবৈধ লেনদেন হয়।
খোদ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অভিযান ও গোয়েন্দা প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। গোপন নজরদারিতে জনতা ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, যমুনা ব্যাংক, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের বিমানবন্দর শাখার বুথ এবং এভিয়া মানি এক্সচেঞ্জার ও ইম্পেরিয়াল মানি এক্সচেঞ্জারের বুথে ভাউচার বিহীন ও সাক্ষরবিহীন ভুয়া ভাউচারে বৈদেশিক মুদ্রা ক্রয়-বিক্রয় করার সরাসরি প্রমাণ পাওয়া গেছে। যার সঙ্গে সরাসরি সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সংশ্লিষ্টতা মিলেছে বলে জানা গেছে।